২৮ অগাস্ট, ২০২৫ ২২:৫০ পি এম
শে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৭ কোটি ডলার (২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন)। এর মধ্যে সর্বাধিক অংশ ঢাকার দখলে—একাই এসেছে ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বিপরীতে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে লালমনিরহাট থেকে, মাত্র ১৩ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রবাসী কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি থাকায় আয়ও সেখানেই বেশি প্রবাহিত হচ্ছে। আর উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই মাসে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা থেকে এসেছে ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে কেবল ঢাকা জেলাতেই এসেছে ১০২ কোটি ৭২ লাখ ডলার—যা দেশের যেকোনো জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে টাঙ্গাইল (৪ কোটি ৩১ লাখ ডলার) এবং তৃতীয় অবস্থানে নারায়ণগঞ্জ (৪ কোটি ৫০ হাজার ডলার)। বিভাগে সবচেয়ে কম আয় এসেছে রাজবাড়ী থেকে—৮৯ লাখ ডলার।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার রেমিট্যান্স ৫৯ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার পাঠিয়ে শীর্ষে, আর দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা (১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার)। নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও চাঁদপুর থেকেও এসেছে উল্লেখযোগ্য আয়। তবে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন থেকে এসেছে সর্বনিম্ন—প্রতিটি মাত্র ১৭ লাখ ডলার।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় এসেছে মোট ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে একাই সিলেট জেলা পাঠিয়েছে ১০ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এরপর মৌলভীবাজার (৩ কোটি ৯২ লাখ), হবিগঞ্জ (২ কোটি ৬৭ লাখ) ও সুনামগঞ্জ (২ কোটি ৬৬ লাখ)।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার রেমিট্যান্স ৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। যশোর (১ কোটি ৮২ লাখ), কুষ্টিয়া (১ কোটি ৫০ লাখ), খুলনা (১ কোটি ২১ লাখ) ও ঝিনাইদহ (১ কোটি ২০ লাখ) এগিয়ে আছে। সর্বনিম্ন এসেছে বাগেরহাট থেকে—৭১ লাখ ডলার।
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা থেকে এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। বগুড়া (১ কোটি ৫৬ লাখ) ও পাবনা (১ কোটি ৫১ লাখ) শীর্ষে। এছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জ ১ কোটি ৩০ লাখ, সিরাজগঞ্জ ৯৪ লাখ ও রাজশাহী জেলা ৮৯ লাখ ডলার পাঠিয়েছে। জয়পুরহাট সর্বনিম্ন—মাত্র ৪৫ লাখ ডলার।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এসেছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। বরিশাল জেলা একাই দিয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এরপর ভোলা ৯৮ লাখ, পিরোজপুর ৭৭ লাখ, পটুয়াখালী ৫৯ লাখ, বরগুনা ৫৪ লাখ এবং সর্বনিম্ন ঝালকাঠি ৪৭ লাখ ডলার।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা একাই দিয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ডলার। জামালপুর থেকে এসেছে ১ কোটি ২৮ লাখ, নেত্রকোনা ৫৪ লাখ এবং সবচেয়ে কম শেরপুর ৩২ লাখ ডলার।
রংপুর বিভাগের আট জেলায় এসেছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। গাইবান্ধা শীর্ষে (৮৬ লাখ), এরপর রংপুর (৫৯ লাখ) ও দিনাজপুর (৫২ লাখ)। সর্বনিম্ন আয় লালমনিরহাট থেকে—মাত্র ১৩ লাখ ডলার।